যা জানা গেল জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর বিষয়ে 

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
যা জানা গেল জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর বিষয়ে 
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ- ২০২৫’ এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। সংসদ এলাকায় এ সময় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এদিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হলে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি আগামীকাল সকলে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সনদ স্বাক্ষর করবেন। মত ভিন্নতা সত্ত্বেও সবাই অংশ নিয়ে সনদ স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করি। সনদ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।
 
তিনি আরও বলেন, কমিশনের মেয়াদের মধ্যেই সরকার সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে বলেও আশা করি ।
 
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
  
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুক্রবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ আয়োজনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকবেন। সেই সঙ্গে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাও।
 
এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির সার্বিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে এ বৈঠকের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
 
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
 
বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, এই ঐতিহাসিক সনদ স্বাক্ষরের ফলে রাষ্ট্র সংস্কারের এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের অব্যাহত ধারার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একটা নির্দিষ্ট অঙ্গীকারে পৌঁছাবে।
  
সেই সঙ্গে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে এই জাতীয় সনদ একটি দিকদর্শন হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
 
প্রায় আট মাস ধরে তিন ধাপে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অবশেষে স্বাক্ষরিত হয়ে ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে।
 
গত ১৬ আগস্ট রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো পূর্ববর্তী খসড়ায় কিছু ত্রুটি থাকায়, তা সংশোধন করে নির্ভুল খসড়া প্রেরণ করা হয়।  বুধবার (২০ আগস্ট) কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়াটির ওপর নিজেদের যে কোনো ধরনের মতামত প্রদানের সময় ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
  
সকলের মতামত পর্যালোচনা করে এবং নির্ভুল আকারে জুলাই সনদ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করে, গত ১৪ অক্টোবর সনদের চূড়ান্ত কপি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে দেওয়া হয়।