দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
ছবি : সংগৃহীত

ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোররাত ৫টার দিকে তাঁকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ড. শহিদুল আলমকে গত ৮ অক্টোবর ইসরাইলি বাহিনী ফ্রিডম ফ্লোটিলা ‘কনশানস’ নামের জাহাজ থেকে আটক করে। ওই জাহাজে মানবিক সহায়তা ও সংহতির বার্তা নিয়ে গাজামুখী অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

আটক করার পর ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাঁকে দক্ষিণাঞ্চলীয় নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত berখ্যাত কেৎজিয়েত কারাগারে স্থানান্তর করে—যা দেশটির অন্যতম বৃহৎ আটককেন্দ্র এবং বহু প্যালেস্টাইন বন্দীর অবস্থানস্থল হিসেবেও পরিচিত।

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শহিদুল আলম ইসরাইল থেকে তুরস্কে পৌঁছান টার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK-6921 ফ্লাইটে। সেখানে অবস্থানকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দেশে ফেরার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি আরেকটি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। প্রায় আট ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে শনিবার ভোরে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এর আগে ৮ অক্টোবর ইসরাইলি নৌবাহিনী ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরের সকল সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তাদের নেগেভ মরুভূমির কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরাইলের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানায় এবং আটক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানায়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেৎজিয়েত কারাগারে বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ বহুবার উঠেছে।

উল্লেখ্য, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার। তাঁর প্রতিষ্ঠান ড্রিক গ্যালারি ও পাঠশালা মিডিয়া ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে বিকল্প সাংবাদিকতা ও আলোকচিত্র শিক্ষার পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।