৪৯তম বিসিএসের আসনবিন্যাস প্রকাশ, পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৩ নির্দেশনা


বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৩ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুধু ঢাকা কেন্দ্রের ১৮৪টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এতে তিন লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, এ পরীক্ষায় ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা হবে। পরীক্ষার মোট সময় দুই ঘণ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ ডিজিটের, যা উত্তরপত্রের নির্ধারিত ঘরে কালো বলপেন দিয়ে লিখে নিচের বৃত্ত ভরাট করতে হবে। উত্তরপত্রে সেট নম্বর আগেই মুদ্রিত থাকবে, তাই আলাদাভাবে সেট নম্বর লেখার প্রয়োজন নেই। প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর সেট নম্বর মিলিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে পড়তে ও তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) কেউ কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরিদর্শকরা পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ছবি যাচাই করবেন। পরীক্ষার পর হাজিরা তালিকায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর ছবি, নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা স্বাক্ষরে কোনো গরমিল ধরা পড়লে তার প্রার্থিতা বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় নিষিদ্ধ সামগ্রী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পিএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ যন্ত্র, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ কেউ হলে প্রবেশ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে।
পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস বার্তা পাঠিয়ে নিষিদ্ধ সামগ্রী না আনার নির্দেশনা দেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় কানে কোনো আবরণ রাখা যাবে না; কানের ওপর হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন লাগবে।
একই সঙ্গে কোনো পরীক্ষার্থী নকল করলে, মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করলে কিংবা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এবং বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা, ২০১৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত ব্যক্তির বাইরে কেউ শ্রুতিলেখক হিসেবে অংশ নিতে পারবেন না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।