ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় যেন ঈদের আমেজ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১১ পিএম
ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় যেন ঈদের আমেজ

একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে ছুটি দুই মিলিয়ে রাজধানীর সড়কগুলো যেন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। গণপরিবহণ ও প্রাইভেট কার থেকে শুরু করে রিকশা-অটোরিকশার আধিক্য কম দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ঈদের আমেজ যেন দেখা যাচ্ছে সড়কগুলোতে।  

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

যানজটের অন্যতম সড়ক হিসেবে পরিচিত বাড্ডা-রামপুরা সড়ক। চিরচেনা জ্যামের রাস্তায় ছিটেফোঁটাও জ্যাম নেই। রামপুরা ব্রিজ থেকে বসুন্ধরা এবং অপরদিক মালিবাগ মৌচাক অনায়াসেই যাওয়া যাচ্ছে। এই রাস্তায় গণপরিবহনও কম দেখা যাচ্ছে সেই সঙ্গে রিকশা ও অটোরিকশাও কম চোখে পড়ছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর ছুটির কারণে লোকজনের চলাচলও কম লক্ষ্য করা যায়। 

 

উবার প্রাইভেট কার চালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। রামপুরা বিটিভির সামনে কলিংয়ের জন্য অপেক্ষমাণ এ চালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই রাস্তায় লোকজন কম। লম্বা ছুটির কারণে লোকজন গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এছাড়াও বৃষ্টি হচ্ছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেরও হচ্ছেন না। 

তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা যেমন ফাঁকা দেখা যায়, এখন ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে। তবে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকলেও মহাসড়কে জ্যাম রয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় লোকজন কম থাকার কারণে এখন পর্যন্ত কোনও ট্রিপ হয়নি। ট্রিপের জন্য অপেক্ষা করছি।

খোঁজ নিয়ে যায়, রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, শ্যামলি, মহাখালী, উত্তরা, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী এসব রাস্তার অবস্থা একই রকম। গণপরিবহন কমের পাশাপাশি প্রাইভেট কার, সিএনজি, রিকশা অটোরিকশা কম। অনেকটাই ফাঁকা এসব এলাকার রাস্তা।  

রামপুরা ব্রিজে উত্তরা যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আরিফ জানান, তিনি তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রতিদিন এই রাস্তায় ভিক্টর, আকাশ কিংবা অনাবিল হরহামেশাই পাওয়া যেতো আর আজ ১০ মিনিটের বেশি বাসের জন্য অপেক্ষা করা লাগছে। 

তিনি বলেন, ঈদের মত ছুটি পড়েছে। এ কারণে রাস্তায় যেমন মানুষ কম তেমনি যানবাহনও কম। 

আরেক যাত্রীব রবিন জানান, তিনি মহাখালী যাবেন। আলিফ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি কম। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষায় আছেন।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজার কারণে গত বুধবার থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। টানা ৪ দিনের ছুটি পাওয়ায় রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে গেছেন অনেকে। এছাড়াও গতকাল থেকে টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লোকজনও বের হচ্ছেন না। এ কারণে রাস্তায় যেমন মানুষ কম তেমনি যানবাহন চলাচল ও কমে গেছে।