রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন মঙ্গলবার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন মঙ্গলবার
ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘ আয়োজিত এ সম্মেলনের লক্ষ্য রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা, আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখা এবং সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ।
 
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সংকট উত্তরণের পথ খুঁজতে জাতিসংঘে বসছে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

বাসস জানায়, নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়) জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে এই সম্মেলন শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও রয়েছেন।

বাসস লিখেছে, জাতিসংঘ আয়োজিত এ সম্মেলনের লক্ষ্য রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা, আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখা, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ।

সম্মেলনে মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি সার্বিক, সুনির্দিষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সম্মেলনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রতিনিধিত্ব করবে তুরস্ক এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) প্রতিনিধিত্ব করবে কুয়েত।

সম্মেলনের আগে সোমবার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা সংকটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

পরে হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আলোচনায় রাখাইন রাজ্যের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথনকশা, আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।