দেশের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা আমাকে অভিভূত করে: প্রবাসীদের আসিফ নজরুল


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘প্রবাসীদের ভালবাসা-স্নেহের কারণে আমার স্কলারশিপ শেষ হওয়ার পরও লন্ডনে ছিলাম। শুধু আমি না, সেখানে যে বাংলাদেশি কমিউনিটি ছিল প্রত্যেকে যেভাবে বরন করে নেন, যেভাবে সাপোর্ট করেন, যেভাবে দেশের জন্য এগিয়ে আসেন সবসময়, যেভাবে দেশকে নিয়ে ভাবেন, আমার সবসময় মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ যেখানেই যায় তারা মূলত বাংলাদেশেই থাকেন। দেশের প্রতি আপনাদের যে ভালবাসা এটা অভিভূত করে আমাকে।’
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে অনুষ্ঠিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ‘হারনেসিং ডায়াসপোরা অ্যাজ আ ন্যাশনাল অ্যাসেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এটি পরিচালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রবাসীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুধু জুলাই অভ্যুত্থান না, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম হয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে বলতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, অত্যন্ত গৌরবজনক ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের। এছাড়াও অন্যান্য সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে ভূমিকা আছে। আপনাদের সম্পদ না বলার তো কোনও কারণ নেই, বরং আমার কাছে মনে হয়েছে আপনাদের যতটুকু সম্মান দেওয়ার এবং স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল আমরা তার খুবই সামান্য করতে পেরেছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানবন্দরে একটা প্রবাসী লাউঞ্জ করলাম। আরেকটা লাউঞ্জ করলাম তাদের জন্য, যারা দূর থেকে আসেন কিন্তু রাত কাটাতে পারেন না। বিমানবন্দরে আমরা কিছু সাহায্যকারী হাত রেখেছি বিশেষ করে যারা মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া যায় তাদের জন্য। কারণ তাদের অনেক বেশি অসুবিধা হয়। তাদের সাহায্য করার জন্য সবসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাহায্যকারী নিশ্চিত করেছি। এতো সুন্দর একটা লাউঞ্জ করেছি, কিন্তু প্রথম কয়েকদিন গিয়ে ওখানে আমি হতাশ হতাম। দেখতাম যে বিদেশিরা বসে আছেন, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যগামী ভাইয়েরা বসতে ইতস্তত বোধ করছেন। সেখান থেকে বিদেশি তাড়ানোর জন্য আমাদের প্রবাসী ভাইদের বসার জন্য অনেকগুলো মেকানিজম করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূলত প্রচেষ্টাগুলো ছিল মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে যারা যান তাদের সংগ্রাম আপনাদের (এনআরবি) তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হয়। আবার আপনাদের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। ছোট্ট একটা আইনি সংশোধন করে এটা করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নারস বন্ড ক্রয়ের সীমা আমরা তুলে ফেলেছি। মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকরা কখনই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেত না, আমরা সেই ব্যবস্থাও করেছি। আগামী ৬ তারিখে সৌদি আরবে যাব, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের শ্রমবিষয়ক চুক্তি হবে।’