অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবাসীরা যেভাবে ভোট দেবেন


আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবাসীরা কীভাবে ভোট দেবেন সে পদ্ধতি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসির ওয়েবসাইটে এমন দুইটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
নিবন্ধনের জন্য প্রবাসীকে গুগল প্লে স্টোর অথবা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর ‘লগইন’ করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। মোবাইল নম্বর প্রবেশ করালে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) আসবে, তা দিয়ে মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করবেন। এরপর নিজের ছবি তোলে দিতে হবে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআিড) হাতে নিয়ে সেলফি তুলতে হবে।
এরপর দিতে হবে এনআইডির ছবি অথবা পাসপোর্ট থাকলে তার ছবি। সবশেষে বিদেশ অবস্থানরত বর্তমান ঠিকানার তথ্য দিলেই কাজ শেষ। সিস্টেম থেকে সব তথ্য যাচাই করে সত্যতা মিললে ‘আপনি এখন নিবন্ধিত’ এমন লেখা প্রদর্শিত হবে অ্যাপে। এরপর অপেক্ষা কেবল ব্যালট পেপারের জন্য।
ইসির নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটের তথ্য চলে যাবে। সে অনুযায়ী হবে পৃথক ভোটার তালিকা। এরপর ইসি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বর্তমান ঠিকানায় মার্কা বা প্রতীক সম্বলিত ব্যালট তিনটি খামে পাঠিয়ে দেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা। একটি খামের ভেতর আরও দু’টি খাম থাকবে। যার একটিতে থাকবে ব্যালট পেপার। আসন নম্বর ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা উল্লেখ করে থাকবে আরেকটি খাম। ভোটার ব্যালট পেপার বের করে ভোট দিয়ে দ্বিতীয় খামটিতে ভরে নিকটস্থ পোস্ট বক্সে জমা দিলেই কাজ শেষ।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো খাম পেলে ভোটার তার অ্যাপে প্রবেশ করবেন। এরপর নির্দেশিকা দেখে মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করবেন। এরপর নিজের ফটো তুলবেন। পরবর্তীতে খামের ওপর থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ভোটার তার আসনের সকল প্রার্থীর নাম দেখতে পাবেন। আর এটা দেখা যাবে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর। প্রার্থিতা দেখার পর ভোটার তার কাছে পাঠানো খাম খুলে ব্যালট পেপার বের করে ভোট দেবেন এবং একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবেন। এরপর ব্যালট পেপার খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দেবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার পোস্টাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা এবং ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্দেশিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।