রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা ইসির


ত্রয়োদশ জাতীয় সয়সদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ কর্মপরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।
প্রকাশ করা কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার ও পরিচয়পত্র মুদ্রণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত করা, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মতো বিভিন্ন নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজের সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুসারে, কর্মপরিকল্পনায় আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়—তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে....। তাই, আজ আমরা আপনাদেরকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করছি। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলোকে মোট ২৪টি ভাগে ভাগ করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছি।’
কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কর্মপরিকল্পনায় কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং জুলাই যোদ্ধাসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে এবং পরবর্তী দেড় মাসের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী আইন, বিধি ও নির্দেশিকা সংশোধন করা এবং নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার এবং পরিচয়পত্র মুদ্রণ, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হবে। ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা গেজেট প্রকাশ করা হবে।