বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে মানিক মিয়ায় ছাত্র-জনতার স্রোত


জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে চলছে দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা। আয়োজনটিকে ঘিরে বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা হাতে ছুটে আসছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও গায়ে জড়ানো লাল-সবুজের কাপড়—সবমিলিয়ে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
দুপুর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একদিকে মঞ্চে চলছে সঙ্গীত, বাজছে প্রতিবাদী গান—জুলাই পুনর্জাগরণে বেজে উঠেছে প্রত্যয়ের সুর। তবে অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু শুধু মঞ্চ নয়, বরং এর বাইরেই জেগে উঠেছে এক অন্যরকম দৃশ্য। দলে দলে সাধারণ মানুষ আসছেন মানিক মিয়া এভিনিউয়ের অনুষ্ঠানস্থলে। কারও হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, কারও কাঁধে ফিলিস্তিনের পতাকা।
আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এসেছেন স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের বিজয় উদযাপন করতে। জুলাই বিপ্লবের অংশীজন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে এসেছেন প্রায় প্রতিটি দলের নেতা-কর্মীরাও। অনেকে এসেছেন একা, কেউ বা পরিবার নিয়ে। জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে কিংবা হাতে ধরে কেউ দাঁড়িয়ে আছেন চুপচাপ, কিন্তু চোখে-মুখে স্পষ্ট প্রত্যয়ের ছাপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মালিহা আনজুম বললেন, “আজকের আন্দোলন শুধু আমাদের রাষ্ট্রের জন্য নয়, এটি বৈশ্বিক নিপীড়নের বিরুদ্ধেও প্রতীকী অবস্থান। তাই বাংলাদেশে পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে এসেছি।”
অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা বলেন, “জুলাই জাগরণ আমাদের আত্মার প্রশ্ন। এ লড়াইয়ের মঞ্চ ছেড়ে যাবো না, যতক্ষণ না সনদ বাস্তবায়ন হয়।”
তিনি বলেন, “আমরা স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি ঠিকই, কিন্তু এখনও জুলাইয়ের আহত যোদ্ধারা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। শহীদ পরিবারগুলো এখনও তাদের প্রিয়জন হারানোর কোনো বিচার দেখতে পায়নি। আমরা চাই সরকার অতি দ্রুতই জুলাই যোদ্ধাদের এসব দাবি পূরণ করবেন।”