সায়েন্স ল্যাব মোড়ে যানচলাচল স্বাভাবিক


ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়ায় সোয়া এক ঘণ্টা পর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সড়কে সতীর্থ আরশাদ আহমেদ আদিলের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে তুলে ধরে বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুর সোয়া ২টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এর আগে দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধে মিরপুর রোড ও আশেপাশের সড়কেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মাহফুজুল হক বলেন, তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে দুপুর সোয়া ২টায় তারা সড়ক ছেড়ে দেয়।
অবরোধ তোলা হলেও যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ঘরমুখী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ পরীক্ষা শেষে আন্দোলনে যোগ দেন।
জানা যায়, মাসখানেক আগে বাংলামোটর এলাকার সড়কে দুর্ঘটনায় মারা যায় আইডিয়াল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরশাদ আহমেদ আদিল নামের এক শিক্ষার্থী। তবে স্বজন ও সহপাঠীরা দাবি করছেন এটি দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড।
পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজ চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের কারণে আসামির কয়েক দিন পর জামিন হয়ে যায়। গাফিলতির জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিচার এবং আসামিকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি ‘
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শরিক হন নিহত আদিলের মা শারমীন জাহান। তিনি জানান, গত ২৩ মে রাত ১টার দিকে আদিল তার বন্ধুদের সঙ্গে বাইক নিয়ে ৩০০ ফিট সড়কে ঘুরতে যায়। পরে রাত ৩টার দিকে যে যার মতো বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর বাংলামোটরে ইব্রাহীম খলিল নামের এক ট্রাক ড্রাইভারের সঙ্গে আদিলের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইব্রাহিম তার ট্রাক দিয়ে আদিলের বাইকে ধাক্কা দেয়। আদিল পড়ে গেলে তার ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেয় ইব্রাহিম। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকসহ চালককে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কয়েক দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে যায়।