সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির যেসব সুপারিশ


ঈদুল আজহার তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ ও ঈদের আগেই চারদিন ছুটিসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ করা হয়।
সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এতে নিহত হন অন্তত ১৪৭ জন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, এবার ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৪১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৪২৭ জন নিহত ও এক হাজার ১৯৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়ক পথেই নিহত হন ৩৯০ আর আহতের সংখ্যাটা এক হাজার ১৮২ জন।
সংগঠনটি জানায়, গত ঈদুল আজহার তুলনায় এবার সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যাতে প্রাণহানি বেড়েছে অন্তত ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো হলো: মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ
চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্ম ঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা, সারা দেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মেয়াদোর্ত্তীণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেয়া, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী চালকের ওপর চাপিয়ে দেয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে এবং ঈদের আগে ঈদের ছুটি ৪ দিন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।