সময় গড়াচ্ছে, তবুও ছুরি-চাপাতির দোকানে নেই ক্রেতা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৬ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
সময় গড়াচ্ছে, তবুও ছুরি-চাপাতির দোকানে নেই ক্রেতা

কোরবানির ঈদ মানেই মাংস কাটার ব্যস্ততা, আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজধানীর কামারশালাগুলোতে ছুরি, চাপাতি, বঁটি, দা এবং খাইট্টা তৈরির ধুম পড়েছে। তবে, দোকানগুলো ভুগছে ক্রেতা সংকটে। 

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলো ঘুরে দেখা যায়, মাংস কাটার যন্ত্রপাতিতে ঠাসা একেকটি দোকান।

ছুরি-চাপাতি-বটি-দা থেকে শুরু করে চাইনিজ কুড়াল এবং মাংস কাটার জন্য ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি—সবই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই গুঁড়িকেই স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘খাইট্টা’। কিন্তু দোকানিদের দাবি, সরঞ্জাম যতই থাকুক, এখনো তেমন বিক্রি শুরু হয়নি। কোরবানির একদিন বাকি থাকলেও ক্রেতার আনাগোনা কম।

জেরিন হার্ডওয়ারের মালিক মো. জুয়েল জানান, ছোট থেকে মাঝারি আকারের ছুরি ১৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। লোহার চাপাতি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, দেশি কুড়াল ১০০০ টাকা ও চাইনিজ কুড়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে, ভোলা সদরের কামারশালায় দেখা যায়, সেখানেও ইস্পাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে ছুরি-চাপাতি-বটি। দোকান মালিক মুহিম জানান, ‘আমাদের এখানে দেশি ইস্পাতের যন্ত্রপাতিই বেশি চলে। চাইনিজ পণ্যে ফলমূল কাটা যায়, কিন্তু মাংস কাটতে সুবিধা হয় না।’

তিনি বলেন, ইস্পাতের তৈরি সরঞ্জামের দাম নির্ধারিত হয় কেজি হিসেবে, প্রতি কেজি ৮০০ টাকা হারে বিক্রি করছেন তারা।

এছাড়া, দোকানগুলোতে বিভিন্ন সাইজের খাইট্টাও পাওয়া যাচ্ছে।

বিক্রেতা মো. শামীম জানান, ছোট সাইজের দাম ৩০০ টাকা, মাঝারি ৪০০ টাকা এবং বড়টির দাম ৫০০ টাকা। সবগুলোই তেতুল কাঠ দিয়ে তৈরি বলে জানান তিনি।

তবুও এবারের বাজারটা যেন চুপচাপ। কোরবানির আগের যেই চেনা ব্যস্ততা, সেটা এবার তেমন নেই। ছুরি-চাপাতি বিক্রি হচ্ছে না, গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে যেমন তেমন, কামাররাও আছেন দুচিন্তায়।

তারা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন—আগুন জ্বালানো, লোহা গরম করা, ঘাম ঝরিয়ে তৈরি করা সব যন্ত্র। আশানরূপ ক্রেতারা এখনো দোকানে আসছেন না।