শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন: সিপিডি


২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এটি এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন। আবার স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন বরাদ্দ কমানো হয়েছে ১৩ শতাংশ। সিপিডি মনে করে, মানব উন্নয়নে এ দুটি খাতে আরও বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ অভিমত তুলে ধরেন।
ড. ফাহমিদা বলেন, নতুন আয়কর কাঠামোয় মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বেড়েছে। যেটি অপ্রত্যাশিত। যেমন- বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকায় কর বেড়েছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, ১০ লাখ টাকায় কর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ, ১৫ লাখ টাকায় কর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকায় কর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত ছিল।
বাজেটের সামগ্রিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কিছু কিছু পদক্ষেপ ভালো নেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু সামগ্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম। বাজেটের যে দর্শন, সেখানে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সিপিডির পর্যবেক্ষণে, বাজেটের আয়-ব্যয়ের ফারাক, কর আদায়ের দুর্বলতা, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা এবং মানব উন্নয়ন খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ মিলিয়ে বাজেট বাস্তবায়নে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।
ড. ফাহমিদা বলেন, ভৌত অবকাঠামো খাতের মধ্যে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে ভালো বরাদ্দ রয়েছে। করের স্তরভেদে মধ্যম পর্যায়ের করদাতাদের ওপর চাপ পড়বে বেশি। সেই তুলনায় উচ্চ পর্যায়ের করদাতাদের ওপর চাপ কম পড়বে। আর অঞ্চল নির্বিশেষে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, সেটি বৈষম্যের মধ্যে পড়ে। কেননা, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।