যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলায় অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের পাশাপাশি যবিপ্রবির হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান, যবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ আবুল হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপাচার্য থাকাকালে ড. আব্দুস সাত্তার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মো. শরিফুল ইসলামকে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে মোট ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৫ টাকা উত্তোলন করেন, যা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই নিয়োগ বোর্ডে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ড. আব্দুস সাত্তার। সদস্য ছিলেন তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ শেখ আবুল হোসেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন (বর্তমানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক) ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলাম এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান। তারা শরিফুল ইসলামের পাশাপাশি রাজু আহম্মেদ নামের আরেকজনকে হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেন।
নিয়োগের সুপারিশ ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়। পরদিন তিনি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে একই ধরনের অভিযোগে অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দুদক আরেকটি মামলা করেছিল।