ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে: আইন উপদেষ্টা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১০ মে ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে: আইন উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর দ্বিতীয় খসড়া নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ফরহাদ (ফরহাদ মজহার) ভাই, বারবার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের কথা বলেছেন। ট্রুথ জাস্টিস কমিশন অথবা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার আছে। এটা সম্ভবত আমাদের দেশে ১৯৭২ সাল থেকে থাকলেই ভালো হতো। আমরা সবকিছুই খুব প্রফেশনালভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই।...আমরা ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করব।’
 
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমি এবং প্রধান উপদেষ্টা টিম নিয়ে সাউথ আফ্রিকা যাচ্ছি।’
 
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের বিষয়ে অিঅসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা এ আইনটা যত ভালো করে করা যায় তেমনভাবেই করব। সব পরামর্শই বিবেচনায় থাকবে। আমরা আইনটা করে যেতে চাই। কারণ, পরের সরকার এটা করবে কি না, আমরা নিশ্চিত নই।’

পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না, সন্দেহ প্রকাশ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা এ আইনটা খুব শক্তিশালী করতে চাই। এখানে যে কমিশন আছে সেটাও খুব শক্তিশালী করতে চাই। কারণ, আমরা এটাও কনফার্ম না যে পরবর্তী সরকার গুমের কোনো আইন করলেও সেটা শক্তিশালী করবে কি না।’

অতীত অপরাধকে কীভাবে এ আইনের আওতায় আনা যায়, সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, আইনজীবীসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা। তারা এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় খসড়ার বিভিন্ন অস্পষ্টতা এবং সংশোধনযোগ্য ভুলগুলো তুলে ধরেন। বলেন, এই ইস্যু সমাধান না করতে পারলে এই রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হবে। জনগণের মনে তৈরি হবে ভীতি।