ঈদযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি, ৭ সুপারিশ


এবার ঈদুল ফিতরে বেশি ছুটি থাকায় ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঈদ উদযাপন করতে বাড়ির পানে ছুটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ সড়ক পথে যাতায়াত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ অবস্থায় ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল বন্ধ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে পদক্ষেপ নেয়াসহ ৭টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছোটেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, অতিরিক্ত গতিসহ নানা কারণে শুধু ঈদ যাত্রাতেই সড়কে ঝরে শত শত মানুষের প্রাণ।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে নিরপাত্তা ফেরাতে মোটরসাইকেলের আরোহীদের মানসম্মত হ্যালমেট ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য কঠোরভাবে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঈদের ১০ দিন আগে থেকে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। মহাসড়কের টোল প্লাজায় অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ, অতিরিক্ত টোল পয়েন্ট তৈরি করে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এছাড়াও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে।
গত ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মারা যান, আহত হন এক হাজার ৩৯৮ জন।