৩ পোশাক কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির উদ্যোগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
৩ পোশাক কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির উদ্যোগ
ছবি : সংগৃহীত

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা গাফিলতি এবং দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের অভিযোগে তিনটি পোশাক কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অভিযুক্তরা হলেন—টিএনজেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইত্তেমাদ উদ দৌলাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল উদ দৌলাহ এবং রোর ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুল ইসলাম।

গাজীপুরের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম আদালত এবং ঢাকার প্রথম ও তৃতীয় শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলাকে ভিত্তি করে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শ্রমিকদের প্রতি অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।’

তিনি জানান, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও সংশ্লিষ্ট আইনগত অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে। অভিযুক্তদের দেশে ফেরত এনে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

কারখানা মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল (এনসিবি) কর্তৃক সই করা পত্রের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষের পাঠানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, কারখানার মালিকদের দ্বারা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে অসহযোগী বা অবহেলাযুক্ত আচরণ সহ্য করা হবে না। শ্রম উপদেষ্টার দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য তিনি তাকে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘন বা পালিয়ে থাকা মালিকদের দেশে ফেরত আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির উদ্যোগ ভালো দিক। তবে শ্রম আদালতে চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। চুক্তি ভঙ্গ ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ডার্ড গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে একটা মামলা করেছে। যা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা আশাবাদী পুলিশ সঠিক প্রতিবেদন জমা দেবে এবং শ্রম আইনের ১৩৬ ধারা অনুযায়ী শ্রম আদালত মালিকের সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেবেন। এ ক্ষেত্রে শ্রম আদালত চাইলে মালিকের অনুপস্থিতিতেও সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারে।’