শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ


আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রবিবার এই আদেশ দেন।
একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার মামলা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগটি গ্রহণ করে ১৫ মে’র মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ওইদিন জবাব দাখিল না করায় আসামিদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিরা হাজির হননি বলে আদালতকে অবহিত করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও শাকিলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো জবাব দাখিল করেননি। এরপর হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। তারা হাজির হননি। এখন বিচারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যেটা অন্যান্য আদালতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
তাজুল বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে যেন ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। যদি হাজির না হয়, তখন ট্রাইব্যুনালে যেন পরবর্তী আদেশ দেওয়া হয়।’ এরপরই ট্রাইব্যুনাল দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন।
‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- এমন একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।