বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আমুসহ গ্রেপ্তার সাত সাবেক মন্ত্রী-এমপি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৪ মে ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আমুসহ গ্রেপ্তার সাত সাবেক মন্ত্রী-এমপি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত সাতটি পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিন তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান,  রাশেদ খান মেনন,  হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এর মধ্যে আনিসুল হককে তিন মামলায়, আমু, ইনু, মেনন ও পলককে দুই মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে তিন মামলায় এবং শাজাহান খানকে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সব মামলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতা, হত্যা ও হত্যাচেষ্টা সংক্রান্ত।

এদিকে, আলোচিত শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ (মোস্তাকীন) হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক তাপসচন্দ্র পন্ডিত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ একটি মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রজনতার ওপর আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন জুনায়েদ। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।