শেখ হাসিনা ও জয়ের গ্রেফতার বিষয়ে প্রতিবেদন ১২ মে


রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১২ মে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কি না, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ (মঙ্গলবার)। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সদস্য শফি উল হক, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
দুই মামলাতে শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। এক মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ ১৭ জন আসামি। অন্য মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আসামি। দুই মামলায় ১১ জন আসামি এক ও অভিন্ন। সে অনুযায়ী উভয় মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আসামির সংখ্যা ১৮ জন।
গত ২৫ মার্চ দুদক দুই মামলায় হাসিনা, জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নিজের জন্য, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে-মেয়েদের জন্য তথ্য গোপন করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।