প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা, উদ্বেগ ইন্ডিয়ার সেনাপ্রধানের

পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে উল্লেখ করে তা অস্বীকার করার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইন্ডিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। একই সঙ্গে এই দুই দেশের দিক থেকেই ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ জানান তিনি।

ইন্ডিয়ার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন দেশটির সেনাপ্রধান।

চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তা প্রায় ১০০ শতাংশ। পাকিস্তানের যাবতীয় সরঞ্জাম চীন থেকে আসে। দু’দিক থেকেই ইন্ডিয়ার  বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, এটাই বাস্তবতা।

জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে বলে দাবি করেন ইন্ডিয়ার  সেনাপ্রধান। এর ফলে এর ফলে আগামী দিনে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
 
তবে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে বলে মনে করেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপেন্দ্র জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ কমে গেছে। ইন্ডিয়ার  সেনাবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমকেই এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
 
উপেন্দ্র জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। গত কয়েক বছরে মাত্র ৪৫ জনকে এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। তবে সন্ত্রাস কমে কাশ্মীরে বেড়েছে পর্যটন।
 
ইন্ডিয়ার  সেনাপ্রধান বলেন, অমরনাথ যাত্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, পর্যটকেরা আরও বেশি করে জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন। ইন্ডিয়ার  সেনারা দেশের উত্তর-পশ্চিমের এই উপত্যকায় সন্ত্রাসের পরিবর্তে পর্যটনের দিকে নজর ঘোরাতে পেরেছে।
 
পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপেন্দ্র বলেন, গত বছরে কাশ্মীরে যত জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। ফলে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে অনবরত বহিরাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ভারত।
 
তিনি বলেন, ‘নিজেদের চরমপন্থার কারণেই ভুগছে পাকিস্তান। নিজেদের আরও গভীর সঙ্কটে ডুবিয়ে দিচ্ছে তারা। আমরা পাকিস্তানে স্থিতাবস্থা চাই। পাকিস্তান জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত হোক, সেটা চাই না।’