গাজায় ৬ দিন ধরে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
গাজায় ৬ দিন ধরে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ছয় দিন ধরে কোনো ধরনের ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। কার্যত সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও ফিলিস্তিনের জন্য বরাদ্দকৃত শত শত লাখ ডলারের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এক বিপর্যয়কর অবস্থায় রয়েছে গাজাবাসী।

তবে হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, ‘তারা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধ পরবর্তী গাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিশর ও আবর বিশ্বের নেতারা যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, তা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে না।

গত সোমবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি সম্মেলনে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বিকল্প পরিকল্পনা উপস্থাপন করে মিশর। সেই পরিকল্পনা আরব দেশের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা পুনর্গঠনে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের প্রস্তাবে ছিল, গাজার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে গাজায় উপকূলীয় পর্যটন শহর গড়ে তোলা হবে। তাঁর এই প্রস্তাবে আরব দেশগুলো আপত্তি জানায় এবং বিকল্প একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে মিলিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্ব নেতারাও  ট্রাম্পের প্রস্তাবের নিন্দা জানান। এমনকি জাতিসংঘও এই প্রস্তাবকে জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য বলে অভিহিত করে।

এরপর মিশরের বিকল্প প্রস্তাবটি আরব দেশের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেন। আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাবটিতে আরব দেশগুলো পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও মিশরের দেওয়া প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত না করে উপত্যকাটিকে পুনর্গঠনের এমন একটি প্রস্তাব দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও আহ্বান জানান।

মিশরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও। সংগঠনটি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন জানাই এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাই।’

এর পরই মূলত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজা যুদ্ধে গত ১৭ মাসে ৪৮ হাজার ৪৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজারের বেশি।