সুমুদ ফ্লোটিলা এগিয়ে চলছে, গ্রেটা থুনবার্গসহ ২ শতাধিক কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েল


গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে ভূমধ্যসাগরের উপকূলের কাছে ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। তবে, ফ্লোটিলার মুখপাত্র জানিয়েছে, এখনো যাত্রা চলমান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজামুখী আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর থেকে অন্তত ২০০ কর্মীকে আটক করেছে। এদের মধ্যে অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজা উপকূলে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া ও ইসরায়েলের নৌ–অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করতে ৪০ টির বেশি নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত কর্মী ভ্রমণ করছেন। তবে ইসরায়েল এর আগেও এমন একটি ফ্লোটিলার আয়োজন ভেস্তে দিয়েছিল। এবারের যাত্রাও ভেস্তে দেওয়ার প্রচেষ্টা কম করেনি দেশটি।
বহরে থাকা আল–জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন—ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরের জাহাজগুলোতে তাদের যুদ্ধজাহাজ থেকে জলকামান ব্যবহার করে পানি ছুড়েছে, জাহাজগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে গাজামুখী জাহাজে থাকা কর্মীদের আটক করেছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক পোস্টে ‘মিশন আপডেট’ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী মাঝ সমুদ্রে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, আটক হওয়া নৌকাগুলোতে ৩৭টি দেশের ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে স্পেন থেকে ৩০ জন, ইতালি থেকে ২২ জন, তুরস্ক থেকে ২১ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন কর্মী ছিলেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল বিভিন্ন নৌযান থেকে কর্মীদের আটক করার পরও ‘মিশন চলছে।’
অন্যান্য নৌযানগুলো এখনো ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে। ঘণ্টা দুয়েক আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানগুলো গাজা উপত্যকার উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এই বিষয়ে আবুকেশেক বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনো দখলদার বাহিনীর সামরিক নৌযানের বাধা এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তারা অনুপ্রাণিত। ভোরের মধ্যে অবরোধ ভেঙে একসঙ্গে গাজায় পৌঁছানোর জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’