আমি থাকতে তাইওয়ান দখল করবে না চীন: ট্রাম্প


বৈশ্বিক পরাশক্তি আমেরিকার সবচেয়ে দাপুটে পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসে আছেন বলেই তাইওয়ান দখল করছে না চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে তাকে এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট শি আমাকে বলেছেন, আপনি ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি তাইওয়ানে আক্রমণ করব না। জবাবে আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। তবে এরপরই তিনি বলেন, মনে রাখবেন, আমার ধৈর্য অনেক এবং চীনও যথেষ্ট ধৈর্যশীল।
ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, তিনি না থাকলে এতোদিনে ইউক্রেনের পুরোটা দখল করে নিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চীনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট শি, চীন ও তাইওয়ানকে নিয়েও আমরা প্রায় একই অবস্থায় আছি। আমি যতদিন আছি, মনে হয় না তাইওয়ানে বেইজিং আক্রমণ চালাবে। দেখাই যাক!
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর জুনে প্রথমবারের মতো শি-ট্রাম্পের নিশ্চিত ফোনালাপের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে এপ্রিলে, তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করলেও, সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে বেইজিং। তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মূল চীনা ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের একীভূতকরণ। সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সামরিক কায়দায় গায়ের জোর প্রয়োগেও প্রস্তুত আছে বেইজিং।
শুক্রবার প্রকাশিত এক বক্তব্যে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন-আমেরিকা সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ইস্যু হচ্ছে তাইওয়ান। হোয়াইট হাউজের উচিত এক-চীন নীতি এবং বেইজিং-ওয়াশিংটন তিনটি যৌথ বিবৃতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা, তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে সামলানো এবং দুই দেশের সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
তাইওয়ানের অন্যতম আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র যোগানদাতা হলেও, তাদের সঙ্গে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি আমেরিকা।
ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে তাইওয়ানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও, ক্ষমতাসীন দল ডেমক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি আমেরিকার সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছে, শত্রুর অঙ্গীকার বা মিত্রের সহায়তার ওপর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পুরোপুরি নির্ভর করতে পারে না। নিজস্ব প্রতিরক্ষা খাত আরও শক্তিশালী করা আমাদের জন্য এখন মৌলিক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।