পাকিস্তানে বন্যা ও ঘরবাড়ি ধসে ৩২ জনের মৃত্যু


পাকিস্তানের চারটি প্রদেশে গত দুই দিনে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় ও ঘরবাড়ি ধসে অন্তত ১৬ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুখওয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘন্টায় আকস্মিক বন্যা ও ছাদ ধসে আট শিশুসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রদেশটির চারসাদ্দা এলাকায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ওপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে এক ব্যক্তি ভেসে যায়। পরে জরুরি বিভাগের কর্মীরা নদীর আরেকটি অংশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার থেকে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশেও কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার প্রদেশটিতে ভারি বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তিনটি শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে আর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
পাঞ্জাবের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ঘরবাড়ির ছাদ ধসে। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যায় ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এদের মধ্যে ছয়টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বেলুচিস্তানের যহোব এলাকায় শনিবার এক পরিবারের তিন নারী ও একটি বালিকা হড়কা বানে ভেসে যান। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিবারটি কোয়েটা থেকে মুলতান যাচ্ছিল। পথে যহোব এলাকার একটি পিকনিক স্পটে তারা যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় ওই এলাকায় একটি বিশাল পাহাড়ি ঢল নেমে আসে আর পরিবারটির ছয় সদস্য পানির স্রোতের সঙ্গে ভেসে যান।
সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরে শনিবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয় ঘরের ছাদ ধসে ও অপর দুজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে বলেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত এবং সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।