মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও সেনারা এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির হুঁশিয়ারি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:২২ জুন ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও সেনারা এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির হুঁশিয়ারি

ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন নাগরিক ও সেনা সদস্যকে এখন থেকে ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

রবিবার (২২ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষক বলেন, ‘এই অঞ্চলে অবস্থানরত প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক বা সেনা সদস্য এখন একেকটি বৈধ লক্ষ্যবস্তু।’

এ ছাড়া, আজ ভোরে দেশটির অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ঘোষণা দিয়েছে, ‘এখন থেকে যুদ্ধ শুরু হলো।’

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ এক উপদেষ্টা মার্কিন নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং কৌশলগত সমুদ্রপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।

খামেনির প্রতিনিধির পরিচয় দেওয়া হোসেইন শারিয়তমাদারি নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এখন আমাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার পালা।’

শারিয়তমাদারির বরাত দিয়ে ইরানের কট্টরপন্থী দৈনিক কায়হান এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছে, ‘বিলম্ব বা দ্বিধা না করে, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাহরাইনে অবস্থানরত মার্কিন নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো এবং একই সঙ্গে হরমুজ প্রণালীতে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান ও ফরাসি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।

তবে, এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের যে ক্ষতি হবে, তা হবে অপূরণীয়।’

পক্ষান্তরে, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি প্রতিশোধের পথে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার চেয়ে অনেক ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের যেকোনো প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে আজ রাতে যা দেখা গেছে, তার চেয়েও অনেক ভয়ঙ্কর শক্তি প্রয়োগ করা হবে।’

চলমান পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা এবং অপ্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে তারা।