কাতারের সঙ্গে লাখো কোটি ডলারের চুক্তির পর আমিরাত যাচ্ছেন ট্রাম্প


কাতারে লাখো কোটি ডলারের চুক্তি শেষে এবার মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আমিরাতে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি সফর শেষে কাতারে গিয়ে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা পেয়েছেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পরেই বিলাসবহুল লুসাইল প্রাসাদে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। দুদেশের মধ্যে এসব চুক্তির আওতায় কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক লেনদেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর আওতায় কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ৭৭৭ এক্স সিরিজের মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া কাতারের আল উদিদ বিমানঘাঁটি এবং অন্য আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। এরপর ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনা দিতে চাই। তিনি আরও জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অপরদিকে ট্রাম্পের সৌদি সফরে ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ চুক্তি ও ১৪২ বিলিয়ন বা ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার বিষয়ে চুক্তি করেছে রিয়াদ। ট্রাম্প উপসাগরীয় অঞ্চলে চারদিনের সফরে বেরিয়েছেন। সফরের শেষ দিন তিনি আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন।