ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে নিহত ৬, আহত ২৮


ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৮ জন লেবানিজ।
রবিবার (২৩ মার্চ) লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লেবাননের জনস্বাস্থ্য জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের শহর তায়ার শহর, বেশ কয়েকটি উপত্যকা ও গ্রামকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয় ও আহত হন আরও ২২ জন।
এদিকে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ১৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী লেবাননের হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টার, অবকাঠামো, সামরিক রকেট লঞ্চার ও অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে তারা আরও হামলা চালাবে বলে জানিয়ে ইসরায়েল।
আইডিএফের বিবৃতির অল্প সময় আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য আইডিএফকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলে যা কিছু ঘটছে এর জন্য লেবাননের সরকার দায়ী।’ ‘ইসরায়েল তার নাগরিক ও সার্বভৌমত্বের কোনো ক্ষতি হতে দেবে না। একই সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের নাগরিকদের নিরাপত্তায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির ফলে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের অবসান ঘটে, যা ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর শত্রুতার মূল বিষয় ছিল গাজায় ইসরালি বর্বরতা। এই যুদ্ধবিরতির ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান হয়।
যুদ্ধবিরতির ফলে লেবাননের বিতর্কিত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের শর্ত ছিল। তবে ইসরায়েলি বাহিনী ১৮ ফেব্রুয়ারির সময়সীমার পরেও পাঁচটি সীমান্ত পোস্ট দখল করে রেখেছে বলে লেবাননের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।