বাতিল হলো এমডি, এমএস-এমফিল কোর্স, যুক্ত হলো ‘ক্যারি অন’ প্রথা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
বাতিল হলো এমডি, এমএস-এমফিল কোর্স, যুক্ত হলো ‘ক্যারি অন’ প্রথা
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি, এমএস অথবা এমফিল কোর্স থেকে কোর্স আউট প্রথা বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে এর স্থলে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে ক্যারি অন প্রথা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, কোর্স আউট প্রথা তুলে নেওয়ার ফলে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী চিকিৎসক কোর্সে ফেল করলেও বারবার কোর্সে প্রবেশে পরীক্ষা দিতে পারবেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) জানুয়ারি ২০২৫ সেশনের নন-রেসিডেন্সি এমফিল, এমএমইডি, ডিপ্লোমা এবং নন-রেসিডেন্সি এমডি ও এমএস কোর্সে পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণের পৃথক দুটি নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিললুর রহমান এতে সই করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, একাডেমিক কাউন্সিলের ৭২তম সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোর্স আউট প্রথা বাতিল করা হয়েছে। সকল যোগ্য প্রার্থী জানুয়ারি ২০২৫ সেশনে কোর্স পরীক্ষায় জরিমানা ব্যতীত নির্ধারিত ফিস প্রদান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, কোনো পরীক্ষার্থী ক্যারি অন প্রথায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে একই শিক্ষাবর্ষে একত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে প্রতি পর্বের জন্য পৃথক পৃথক আবেদন ফরম পূরণ করে কোন কোন পত্রে অবতীর্ণ হবেন, তা উল্লেখ করতে হবে। প্রতি পর্বের জন্য পৃথকভাবে নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) জমা দিতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত সময়ে রেসিডেন্সি কোর্সে আট বার পরীক্ষা দেওয়ার পর উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী সেই প্রার্থীকে কোর্স আউট করে দেওয়া হতো। এমনকি বিগত সরকারের সময়ে ভিন্নমতের চিকিৎসকদের নানাভাবে কোর্স আউট করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তখন পরীক্ষায় ইচ্ছা করে ফেল করানো হতো। এমনকি অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেও কোনো কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলেই ঢুকতে না দিয়ে পরবর্তীতে কোর্স আউট করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স আউট হয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভা চলাকালে জড়ো হয়ে বিগত বছরের চাকরির সময়কালকে ট্রেনিং পিরিয়ড ধরে এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ডিগ্রিকে আমলে নিয়ে এমডি, এমএস ও এমফিল কোর্সে সরাসরি ফেজ-বিতে প্রবেশের সুযোগ দাবি করেন। ১৮ বছরের চাকরিকালকে ট্রেনিং পিরিয়ড হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সরাসরি ফেজ-এ ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও ডিপ্লোমাধারীদের প্রো মার্জনা করে সরাসরি ফেজ-বিতে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলেন তারা। এরপর সেদিন অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলে বঞ্চিত চিকিৎসকদের এসব দাবিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হয় এবং পরবর্তী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে তাদের দাবি উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।