আন্দোলনে  আহত ছাত্রদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসা করানো হবে: অতিরিক্ত সচিব

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আন্দোলনে  আহত ছাত্রদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসা করানো হবে: অতিরিক্ত সচিব
ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন,  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের চিকিৎসা সেবা দিতে চাইনিজ এক্সপার্টদের দেশে এনে অথবা যদি প্রয়োজন হয় আহতদের দেশের বাইরে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

শাহ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে চীনের মেডিকেল টিম অতি দ্রুত সময়ে ঢাকায় আসে। এই টিম ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে। গতকাল পর্যন্ত তারা পাঁচটি হাসপাতাল ভিজিট করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা ১৬০ জন রোগীকে ভিজিট করেছেন। ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন। এই টিম মূলত মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট টিম। চীন সরকার খুব দ্রুততম সময়ে এই অ্যাসেসমেন্ট টিম বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।’

এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এই ১০৫ জন রোগীর মধ্যে কয়েকজন রোগী খুবই মেডিকেল ইনজুর্ড (গুরুতর আহত)। এই রোগীদের বিষয়ে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তারা তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট আমাদের পাঠাবেন। মেডিকেল ইনজুর্ড পেসেন্টের মধ্যে ২-৩ জন আইসিইউতে আছেন। কিছু আছেন নার্ভ ইনজুরি পেসেন্ট। একজন আছেন চোখের রোগী।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, চীনের এক্সপার্টদের দেশে এনে অথবা প্রয়োজন হলে এসব পেসেন্টকে আমরা দেশের বাইরে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছি। এই বিষয়ে আমাদের সিনিয়র সচিব এবং উপদেষ্টা খুবই আন্তরিক।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার জন্য আমাদের যে নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, তাদের চিকিৎসা আমরা ইন্টারন্যাশনাল প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কি না এটা তারা দেখেছেন। যথাসময়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছি কি না, এটাও তারা দেখেছে। এই বিষয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট।’

‘আরেকটা জিনিস তারা দেখেছেন, আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট বিষয় ক্যাপাসিটি লিমিটেশন আছে কি না। এই জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে। এই চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে যে সহযোগিতা শুরু হলো সেটাকে আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চাই।’ বলেন এই অতিরিক্ত সচিব।

তিনি আরও বলেন, ‘এটার জন্য আমাদেরকে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে। আমাদের সিনিয়র সচিবের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর চীনের রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে সম্মত হয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিক একটা প্রস্তাবনা চেয়েছেন। আমরা খুব দ্রুতই এই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা পাঠাবো।’