করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা


আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। সারাদেশে নতুন করে বাড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে সব বন্দরে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশে বেশ কিছু সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনার কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। ভাইরাসটির কয়েকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল-নৌ-বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. আবু জাফর।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু হাতে না রেখে দ্রুত ঢাকনাযুক্ত কোনো ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।
৫. সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন (২০ সেকেন্ড ধরে) হাত ধুয়ে ফেলুন।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন এবং অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৮. অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৯. সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করুন।
১০. আক্রান্ত রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
১১. রোগীকে যারা চিকিৎসাসেবা দেবেন তারাও সতর্কতার অংশ হিসেবে মাস্ক পরুন।
১২. প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১–১৯৬২৯৩)।