নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই আসছে শীত, ডিসেম্বরেই শৈত্যপ্রবাহ
উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলে সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর বর্ধিতাংশ এখনও উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান। এর প্রভাবে আগামী দুই দিন ঢাকাসহ দেশের সাতটি বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি, এমনকি কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করবে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, অবশেষে শীতের আগমনী বার্তা সুস্পষ্ট হতে শুরু করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরের দুর্বল লঘুচাপের প্রভাবে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও, এই বৃষ্টির পর্ব কাটলেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে উঠবে এবং একই সাথে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। অর্থাৎ, খুব শীঘ্রই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা আর সন্ধ্যায় হালকা হিমেল বাতাস অনুভূত হতে শুরু করবে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) বিশেষ বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, ১০ নভেম্বরের পর থেকেই দেশজুড়ে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করবে। এই সময় থেকে ক্রমশ তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
বিশেষ করে মাসের শেষ দিকে সারাদেশে বেশ ভালো রকমের শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ডিসেম্বরের আগে বড় কোনো শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য অঞ্চলে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা।
আর শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টিপাতের হার কমে যাবে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
