সিনেমা দেখে গুপ্তধনের সন্ধানে রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ এএম
সিনেমা দেখে গুপ্তধনের সন্ধানে রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি
ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ছাবা’ সিনেমাটি শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন কারণে আলোচনায় রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ৫০০ কোটির ঘর অতিক্রম করে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। পাশাপাশি দর্শকদের মনস্তত্ত্বেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে ‘ছাবা’। কিন্তু তার প্রভাব যে এমন মারাত্মক সুদূরপ্রসারী হবে, তা সম্ভবত আগে কেউ অনুধাবন করতে পারেননি! সিনেমাটি দেখে গুপ্তধনের খোঁজে রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি করেছে একদল দর্শক। ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের এমন ঘটনা ঘটেছে।

রাতের অন্ধকারে রীতিমতো জেসিবি, বড় টর্চ, শাবল-কোদাল নিয়ে খনন শুরু করে বুরহানপুরের আসিরগড়ের জনতা। তাদের ধারণা, মাটি খুঁড়ে মোগল আমলের কিছু স্বর্ণমুদ্রা কিংবা গুপ্তধনের সন্ধান মিললেও মিলতে পারে। অনেকে আবার দাবি করেছেন, ওই এলাকায় নাকি কেউ কেউ স্বর্ণমুদ্রাও দেখতে পেয়েছেন।

ভিকি কৌশলের ‘ছাবা’দেখার পর সেই ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। কারণ এ সিনেমায় বুরহানপুরের নাম নেওয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে, এককালে মোগলদের বাস এখানেই ছিল। আর সেখান থেকেই তাদের মনে হয়েছে, এখানেই লুকিয়ে রয়েছে মোগলদের গুপ্তধন। এরপর যন্ত্রপাতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, দুর্গের চারপাশে পুরোদমে চলছে খনন কাজ। এমনকী মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও চারপাশ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, সোনাদানা কোথাও লুকিয়ে রাখা রয়েছে কি না। আসিরগড়ের বাসিন্দাদের এমন খোঁড়াখুড়িতে ভীষণ বিরক্ত সেই অঞ্চলের জমির মালিকরা। আপত্তি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কে শোনে কার কথা? যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার সেই অঞ্চলে গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা জনতার কোনো দেখা পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশের সাহায্যে গ্রামবাসীদের খনন কাজ বন্ধ করা হয়।

এমনকি সেই অঞ্চলে গুপ্তধন পাওয়ার সম্ভাবনাও তারা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’র পক্ষ থেকে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা হাসাহাসি করেন। এতে দেখা গেছে, গ্রামবাসী শাবল-কোদাল দিয়ে দুর্গের চারপাশে খনন করেছে। আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টরও। আর বুরহানপুরের সেই আজব ঘটনাই সংবাদের শিরোনাম হয়ে আসছে।