মৃত্যুর প্রায় পাঁচ দশক পর চার্লি চ্যাপলিনের অসমাপ্ত চিত্রনাট্য প্রকাশ


নীরব সিনেমার চিরন্তন জাদুকর চার্লি চ্যাপলিন। হাসির আড়ালে যিনি ফুটিয়ে তুলতেন মানবতার গভীর বেদনা। আবারও হাজির হচ্ছেন তিনি। মৃত্যুর প্রায় পাঁচ দশক পর এবার প্রকাশিত হয়েছে চার্লি চ্যাপলিনের অসম্পূর্ণ একটি সিনেমার চিত্রনাট্য।
‘দ্য ফ্রিক অব চ্যাপলিন’ নামের চিত্রনাট্যটিই ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক ও সুরকার চার্লি চ্যাপলিন-এর অসমাপ্ত শেষ চলচ্চিত্র প্রকল্প। যেটি সম্প্রতি সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকল্পটি ‘দ্য ফ্রিক: দ্য স্টোরি অব অ্যান আনফিনিশড ফিল্ম’ শিরোনামে বই আকারে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা স্টিকিং প্যালেস বুক।
বইটিতে থাকছে চ্যাপলিনের নিজের লেখা মূল চিত্রনাট্য, স্টোরিবোর্ড, সংগীতের খসড়া, প্রোডাকশন নোট এবং বিরল অডিও রেকর্ডিং সহ প্রায় ৩০০০ পৃষ্ঠার উপাদান।
আশা করা হচ্ছে, ‘দ্য ফ্রিক’ নামের চ্যাপলিনের শেষ চলচ্চিত্রটি আজও দর্শকের হৃদয়ে তৈরি করবে প্রাণচঞ্চলতা। কালজয়ী সৃষ্টির কারিগর চার্লি চ্যাপলিন তার এ চিত্রনাট্যে রহস্যময় পাখাওয়ালা এক নারী ‘সারাফা’র বর্ণনা দিয়েছেন।
গল্পে ‘সারাফা’ নামের মেয়েটির রয়েছে নিরাময়ের ক্ষমতা ও শান্তি ফেরানোর শক্তি। এ গল্পে চ্যাপলিন নিজেও এক মাতাল পথচারীর চরিত্রে অভিনয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন।
প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনাটি চ্যাপলিনের অন্যান্য কাজের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। তবে গল্পে ফুটে উঠেছে তার সেই চিরচেনা মানবিকতা, ব্যঙ্গো আর কল্পনার ছোঁয়া।
প্রসঙ্গত, গুণী এ তারকার আসল নাম স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র হলেও ‘চার্লি চ্যাপলিন’ নামেই দর্শকমহলে বেশি পরিচিত পান তিনি। ১৯৭৭ সালে ২৫ ডিসেম্বর ৮৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ব্রিটিশ এ তারকা।