চুয়াডাঙ্গার ১২১টি বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
চুয়াডাঙ্গার ১২১টি বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা

চুয়াডাঙ্গার ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুর ইউনিয়নের আক্কাছ লেক ভিউ পার্কে এই মিলনমেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।

এতগুলো বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা ও বনভোজন আয়োজনে অভিভাবক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনও ঠিকমতো বই পায়নি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজন করাটা শিক্ষকদের ঠিক হয়নি।

এদিকে, শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, তারা সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে এই আয়োজন করেন। তবে আয়োজনের সময় ছুটি বাতিল করে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এর পরই মিলনমেলা ও বনভোজন স্থগিত করে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ফিরে যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত ছুটির জন্য আবেদন করা হয়। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের ছুটি মঞ্জুর করেন। এরপরই আমরা মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করি।’

তিনি বলেন, ‘আয়োজন চলাকালে হঠাৎ আমাদের জানানো হয়, ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এখনই স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এরপর দুপুর ২টার মধ্যে আমরা আবারও ক্লাসে ফিরি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাইলা তাসলিমা নাসরিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে এক দিনের মধ্যে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে লাইলা তাসলিমা নাসরিন বলেন, ‘শিক্ষকরা বছরে তিন দিন সংরক্ষিত ছুটি নিতে পারেন। সেই ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেই এই আয়োজন। এছাড়া আয়োজনের সময়ে ছুটি বাতিল করায় শিক্ষকরা ফিরে ক্লাস শুরু করেন।’