৪৩তম বিসিএস বাদপড়াদের আবেদন পুনর্বিবচনা করা হচ্ছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৪৩তম বিসিএসে বাদপড়া ২২৭ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে যদি কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, তাহলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত আছে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে দুই হাজার ১৬৩ প্রার্থীকে মনোনীত করে গেল বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপারিশ পাঠায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির)। বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস, ১৯৮১ এর চার নম্বর বিধি অনুসারে, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই শেষে সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯জন, মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে বাকি দুই হাজার ৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
‘এরপর থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। পরে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী নির্ধারণে ও সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, এনএসআই ও ডিজিএফআই থেকে ২১৬৩ জন প্রার্থীর উপযুক্ততা কিংবা অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২৭ জন প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। বিরূপ মন্তব্যের কারণে এসব চাকরিপ্রার্থীকে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করার পাশাপাশি তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
‘স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ মোটসহ ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে বাকি ১৮৯৬ জন প্রার্থীর অনুকূলে ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।’
আদেশে আরও বলা হয়, এরইমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যেকেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত আছে।