বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় শেবাচিম শিক্ষক কারাগারে
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক ডা. শাকিল আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ওই শিক্ষার্থীর করা মামলায় এদিন দুপুরেই বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা রোডের বাসা থেকে ডা. শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিকালে তাকে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাদী কুড়িগ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসক ঢাকার উত্তরখান থানার মাস্টারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালে আসামি শাকিলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাদীর। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। আর বাদী ঢাকার হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আসামি। তবে পারিবারিকভাবে একাধিকবার বিয়ের কথা বলা হলেও আসামি নানা অজুহাতে টালবাহানা শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রেম চলাকালেই আসামি শাকিল আহম্মেদ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি বরিশালে বসবাস শুরু করেন। বরিশালে এনেও ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর বিয়ের কথা কথা বলে বাদীকে বরিশাল আসতে বলেন তিনি। পরে তাকে ধান গবেষণা রোডের ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।’
আদালতের নথি কর্মকর্তা (জিআরও) এনামুল বলেন, ‘আসামিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করা হলে তার পক্ষে কেউ জামিন আবেদন করেননি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’