আলোচনা করতে সচিবালয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আলোচনা করতে সচিবালয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
ছবি : সংগৃহীত

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ আইন চূড়ান্ত করে দ্রুত অধ্যাদেশ জারিসহ ৪ দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষা ভবনে প্রবেশে করেছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।

প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- মো. নাঈম হাওলাদার, তানজিমুল আবিদ, রবিন, রিয়াজ উদ্দিন, ফাহাদ, ফরহাদ, পাভেল, ইউসা বিন আলম, মারুফ, ইউনুস, জাফরীন, ইমু, স্মৃতি, সামান্তা, আসফিয়া, রবিউল চোকদার, সৈকত, সাবরিনা, আওলাদ, রবিউল্লা, সানি, মুত্তাকী ও মাসুম।

সচিবালয়ে প্রবেশ করা প্রতিনিধিরা জানান, কবে অধ্যাদেশ জারি করা হবে এবং অন্যান্য দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে তারা সচিবালয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তারা শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এর আগে, সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন।

অবস্থান কর্মসূচির কারণে শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, সে জন্য ওই এলাকায় ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। পুলিশের একটি জলকামান ও রায়ট কার সেখানে দেখা গেছে।

চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

শিক্ষার্থীদের চার দফা

১. অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাদেশের খসড়া সংশোধন করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
২. চলমান সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিনা শর্তে আত্তীকরণের মাধ্যমে ঢাকাবি শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যাদেশে স্বীকৃতি দেওয়া।
৩. অধ্যাদেশ জারির পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা।
৪. সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও ফেল করানোর হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা।