ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন : ঢাবি উপাচার্য


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, 'আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন।
যদিও আমরা শিক্ষকদের গবেষণার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারি না। প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে বাকিরাও নিজেদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে পারবেন।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি রিসার্চ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ঢাবির জনসংযোগ দফতরের উপ পরিচালক ফররুখ মাহমুদ আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতীয় দায় ও দায়িত্ব নিয়ে চলতে হয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে দেশবিদেশে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিন শেষে সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের সমাজের জন্য কাজ করতে হয়। নিজেদের এখন দেশ ও সমাজের জন্য গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সুযোগ রয়েছে।সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।'
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। সভাপতিত্ব করেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. আনোয়ার হোসেন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাপান অংশের প্রকল্প প্রধান গবেষক (পিআই) ড. কোজো ওতানাবি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই বন্ধুত্ব রাজনীতির উর্ধ্বে। প্রকল্পটি সমাজে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। মানুষ উপকৃত হবে। এই ধরনের প্রকল্পকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এই প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইয়েনের (জাপানি মুদ্রা) প্রকল্পটি ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০৩১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পটি প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর, জাপানের সিজুকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।