চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক কন্টেইনার ধ্বংস

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক কন্টেইনার ধ্বংস

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি বিপজ্জনক পণ্যবাহী কন্টেইনার পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এ ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তঃসংস্থা কমিটির নেতৃত্বে এ কাজ সম্পন্ন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। ধ্বংস কার্যক্রমে পরিবেশ অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রবিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে এই ধ্বংসকাজ চালানো হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার এবং স্থানীয় বন্দর থানার পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন।

ধ্বংসকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল— আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বনেট (১৬ কন্টেইনার), অরেঞ্জ ইমালসন (১ কন্টেইনার), সুইট হুই পাউডার (১ কন্টেইনার) এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার (১ কন্টেইনার)। এসব কন্টেইনার দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

গত বছরও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথ উদ্যোগে ১৪ বছর ধরে বন্দর এলাকায় পড়ে থাকা অতি দাহ্য ৪টি বিপজ্জনক কার্গো কন্টেইনার অপসারণ ও ধ্বংসে সফল হয়।

এনবিআর আরও জানায়, বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনের লক্ষ্যে প্রায় ৬ হাজার ৬৯টি কন্টেইনারের (প্রায় ১০ হাজার টিইইউ) ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রুত নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কন্টেইনারের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে, যা বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রাজস্ব বোর্ড আশা প্রকাশ করেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শেষ করে বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলবে বলেও জানানো হয়।