অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার


সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব নীতি ও প্রশাসন সংস্কার অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ প্রয়োজনীয় সংশোধন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করার আশ্বাসে পূর্বঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিল।
রবিবার (২৫ মে) রাতে এক বিবৃতিতে এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাউন্সিল এ তথ্য জানায়।
এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় স্পষ্ট করা হয়– এনবিআর বিলুপ্ত করা হবে না। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে শক্তিশালী করা হবে। রাজস্ব নীতি প্রণয়নের জন্য একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠিত হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান অধ্যাদেশ কার্যকর করা হবে না।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সরকারের এই প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাই, যা এনবিআর, রাজস্ব সংস্কার উপদেষ্টা কমিটি এবং প্রধান অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে টেকসই রাজস্ব সংস্কার নিশ্চিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, স্বাধীন ও ক্ষমতাসম্পন্ন রাজস্ব সংস্থা প্রতিষ্ঠার যাত্রার সূচনা।
তারা আরও উল্লেখ করেন, সরকারের এই ঘোষণা তাদের দীর্ঘদিনের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। তবে, তাদের দ্বিতীয় দাবি—বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ—এখনও পূরণ হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি সরকার শিগগিরই এই দাবির পক্ষে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
এদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে পূর্বঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান তারা। তারা বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা বিশ্বাস করি এই দেশে একটি টেকসই ও জনবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
কাউন্সিল তাদের পূর্বের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, যদি আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়—তাহলে আমরা অতিরিক্ত কাজ করে সকল অসমাপ্ত কাজ শেষ করব।’ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখন থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী অফিস সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ শুরু করা হবে।