১০ মাসে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ মে ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
১০ মাসে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

গত এপ্রিলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে শুধুমাত্র ৩০ এপ্রিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেশে এসেছে। এ মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের শেষে ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে মোট দুই হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার। এতে দেখা যায় এই অর্থবছরের এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরও রেমিট্যান্স আহরণের এই শক্তিশালী প্রবণতা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

গত মার্চে রেমিট্যান্স সর্বকালের সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার দেশে এসেছিল।

চলতি অর্থবছরে প্রতি মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই রেকর্ডটি ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি প্রবাসীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রমতে, ঊর্ধ্বমুখী এই প্রবণতার পেছনে সরকারি প্রণোদনা, অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর (হুন্ডি) বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আরও পড়ুন: এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৬.৬ শতাংশ

একই সঙ্গে প্রতি মার্কিন ডলারে স্থিতিশীল বিনিময় মূল্য ১২২ টাকা এবং ইতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও উৎসাহব্যঞ্জক ধারায় অবদান রেখেছে। 

২০২২ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০৬ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বিপুল ডলার বিক্রির ফলে ২০২৪ সালে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৯ কোটি ডলারে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ডলার বিক্রির পরিবর্তে বাজার থেকে কেনার দিকে ঝুঁকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক , যা রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের চলমান বৃদ্ধি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে এবং দেশের বিদেশী ঋণের উপর নির্ভরতা কমাবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের রেমিট্যান্সের পরিসংখ্যান-

এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, অক্টোবেরে ২৩৯ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ডলার, জুলাইতে ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ।