'নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টস' আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে: প্রতিবেদন

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
'নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টস' আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে: প্রতিবেদন

বাংলাদেশ ব্যাংকের 'নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টস' (এনএফএ) প্রবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যূনতম বা শূন্য আমানতের প্রয়োজনীয়তা এবং বিনা ফি পরিষেবাসহ এই অ্যাকাউন্টগুলো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংকিং সুবিধা নিতে সক্ষম করে।

প্রতিবেদনে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উপর এনএফএ’র প্রভাব দেখানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই মৌলিক অ্যাকাউন্টগুলো বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থার লোকদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছিল।

এনএফএগুলো ব্যাংকিংয়ে সহজ, ব্যয়বহুল সুবিধা সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট এনএফএ'র সংখ্যা ৩ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫০টিতে পৌঁছেছে। আর এসবের মোট আমানতের পরিমাণ ৬ হাজার ৮২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ১০/৫০/১০০ টাকা আমানত দিয়ে খোলা হিসাব (স্কুল ব্যাংকিং এবং পথশিশু/কর্মজীবী অপ্রাপ্তবয়স্কদের হিসাব ব্যতীত) এর মধ্যে ২ কোটি ৮১ লাখ ২৩ হাজার ৩৯০টি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে, যার জমা করা সঞ্চয়ের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৮৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএফএর সংখ্যা আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ এবং বছরে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বড় অংশটি হলো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসএন)  সঙ্গে সংযুক্ত অ্যাকাউন্ট, যা মোট আমানতের ৩৭ দশমিক ১২ শতাংশ। তারপরে কৃষকদের জন্য অ্যাকাউন্ট ৩৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১০/৫০/১০০ টাকার সঞ্চয়কারীর হিসাবধারীকে ৮৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাব থেকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স বিতরণেও সহায়তা করা হয়েছে, যা ত্রৈমাসিকের শেষে এসেছে ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা গৃহীত হয়েছে।

এছাড়াও ১০ হাজার ৪৩৯টি নতুন স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আর পথশিশু এবং কর্মজীবী অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩৯ হাজার ৬৩৪টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব হিসাবের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের অবদান ৭৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, সোনালী ব্যাংক ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।

আর্থিকভাবে বাদ পড়া ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিংয়ে একীভূত করার ক্ষেত্রে এনএফএগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।