তিনদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ এএম
তিনদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল-আমিনের মরদেহ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই মালেক নিহত আল আমিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় নিহত আল আমিনের বড় ভাই মোস্তফা কামাল, ছোট ভাই মনসুর আলী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে মরদেহ বুঝে নেন।

গত শনিবার (৮ মার্চ) নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি)'র ভিতরগড় বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস থেকে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়া নামক স্থানে বিএসএফ-এর টহলদলের গুলিতে আল-আমিন নিহত হন। পরে মরদেহ বিএসএফ টহল দল নিয়ে যায়। তারা ময়নাতদন্ত শেষে রাজগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি জানার নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭-এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান।

এ ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি আইসিপি পয়েন্টে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বাংলাবান্ধায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী ও বিএসএফের পক্ষে শিলিগুড়ি সেক্টরের কমান্ডার পিকে সিং। 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কমান্ড্যান্টসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। বৈঠকে বিজিবি পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানায় বিজিবি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনায়েত কবীর জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকের বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে ভারতীয় বিএসএফ নিহত বাংলাদেশির মরদেহ বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজনরা উপস্থিত থেকে মরদেহ বুঝে নেন।