সুনামগঞ্জে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
আগামী এপ্রিলে সারাদেশে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। এজন্য ছাতকের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। তবে ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা করে আদায় করা হলেও তা দেখার কেউ নেই।
এছাড়া গেল ২৯ ডিসেম্বর ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি দেখিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে গত ১ জানুযারি দ্বিতীয় বার নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ রবিউল ইসলাম।
বার্ষিক পরীক্ষার নবম শ্রেণির দুটি ফল প্রকাশের ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ আছে, জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে ছাতকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বহু শিক্ষার্থীর।
অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ফিস ১৬৫০ টাকা, সেন্টার ফিস ৪৮০ টাকাসহ দুই হাজার ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা এবং বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের জন্য পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা ধরা হয়েছে। তবে সুবিধাভোগীরা ম্যানেজিং কমিটির নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তাদের কাছ তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে।
নবম শ্রেণিতে দুবাব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সত্যতা স্বীকার করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘সফটওয়্যারজনিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে এসব করা হয়।’
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখরবিউল ইসলামকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলে কেউ রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করা অন্যায়। এছাড়া নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দুটি ফলাফল প্রকাশ করতে পারেন না। এসব ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসির নিধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
বার্ষিক পরীক্ষায় দুটি ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় ইউএনও বলেন, ‘এসব ঘটনায় অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’