লামায় ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় নেই: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৬টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় নেই বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পরে স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি।
পার্বত্য উপদেষ্টা অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, লামায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস।
তিনি বলেন প্রধান উপদেষ্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা জন্য পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
এ সময় বিরোধপূর্ণ জায়গার অধিকার প্রসঙ্গে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আইনের একটি নির্দিষ্ট গতিপথ আছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সব শুনেছেন তারা আইনের সঠিক ব্যবহার করে সঠিক জায়গায় এই জায়গাগুলো হস্তান্তরের উদ্যোগ নেবেন।
এ সময় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি পরিবারের মাঝে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন, ২৫ কেজি চাল, দুটি কম্বল বিতরণ করেন।
পার্বত্য উপদেষ্টার সফর সঙ্গী হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভা. প্রা.) রূপায়ণ দেব সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার গত ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দিবাগত রাতে পূর্ব-বেতছড়া পাড়ায় ত্রিপুরা পল্লীতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ১৬টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত গুঙ্গামনি ত্রিপুরা। পুলিশের অভিযানে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইব্রাহিম, স্টিফেন ত্রিপুরা, মসৈনিয়া ত্রিপুরা, যোয়াকিম ত্রিপুরা সহ চারজনকে। অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে।