খুলনায় নির্মিত হচ্ছে নতুন ৯টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
খুলনায় নির্মিত হচ্ছে নতুন ৯টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র
ছবি : সংগৃহীত

খুলনা বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ৯টি জিআইএস টাইপ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার ৮২৫ টাকা।

প্রকল্প পরিচালক মো. তোহিজ্জুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন কেবল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার অপেক্ষা। ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হলে দ্রুত মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হবে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উপকেন্দ্র নির্মাণের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পের আওতায় চারটি ও পাঁচটি উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল দিক থেকে রেসপনসিভ বিবেচিত টিএসটিএল-ইইএল কনসোর্টিয়ামকে চারটি নতুন ৩৩/১১ কেভি ১১০/১৪ এমভিএ জিআইএস টাইপ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দরের তুলনায় প্রায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি আরেকটি প্রস্তাবের আওতায় ৫টি নতুন ৩৩/১১ কেভি ২১০/১৪ এমভিএ জিআইএস টাইপ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এসব উপকেন্দ্রের মধ্যে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে ৫টি, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে ৩টি এবং সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ১টি নির্মিত হবে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শিল্প-কারখানার উৎপাদন বাড়বে, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের ভোগান্তিও কমে যাবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন এসব উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে আধুনিক বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমবে, বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না এবং শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে।