ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং লিডার ইভানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার ইভানকে (২৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় ওসমানী স্টেডিয়ামের কাছাকাছি স্থানে ইভানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইভানের ভাই মাহিয়ান দাবি করেন, ‘আমার ভাই ইন্টারনেট ব্যবসা করতো। শফিকুল, সাইফুল ও বাবু ওরা আপন তিন ভাই ও এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ওরা চাঁদাবাজি করতো। গত রমজানের সময় একটি ভবনে চাঁদা নিতে গেলে আমার ভাই (ইভান) তাদের বাধা দেয়। সেখান থেকেই ওদের সঙ্গে শত্রুতা। এর জেরে ওরা তিন জনসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইভান সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। ইভানের সঙ্গে ইসদাইর রেললাইন বস্তির পাগলা সাইফুল তার মেজো ভাই বাবু ও তাদের ছোট ভাই শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ববিরোধ ছিল। এতে তাদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারধরের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এক মাস আগে চোর আখ্যা দিয়ে পাগলা সাইফুল ও তার দুই সহযোগীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ইভান। এ ঘটনার পর থেকে ইভানকে হত্যা করার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে সাইফুল ও তার লোকজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইভানের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব প্রদানসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ইয়াবা রাখার অভিযোগে দুই সহযোগীসহ ইভানকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এরপর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে ২০২২ সালের ১১ মার্চ ৮ সহযোগী ও বেশকিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ফের গ্রেফতার হন ইভান। ২০২২ সালের ১৯ মে আবারও ইভানকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। সবশেষ ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ সহযোগীসহ ইভানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।’