আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দুই ভাগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৭ পিএম
আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দুই ভাগ

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দুই ভাগ হয়ে গেছে। এতে তাৎক্ষণিক আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

আটকে পড়া যাত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান জানান, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৫টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আশুগঞ্জ স্টেশন ঢোকার মুহূর্তে ‘ট’ ও ‘ঠ’ বগির মাঝখানে আলাদা হয়ে যায়। এতে পেছনের পাঁচটি বগি ছাড়াই ট্রেনটি আশুগঞ্জ প্রবেশ করে। বাকি অংশ আশুগঞ্জ যাত্রাবাড়ী এলাকায় রয়েছে।

তিনি জানান, এতে আপ লাইনে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিকল্প পন্থায় ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে কিছুটা বিলম্বে ট্রেন চলাচল করছে। এত ট্রেনের শিডিউল কিছুটা বিপর্যয় হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা।

ঢাকাগামী মহানগর গোধূলির যাত্রী সৈয়দ মো. জামাল জানান, এক ঘণ্টার ওপর স্টেশনে বসে আছি, আদৌ যেতে পারবো কি না এ নিয়ে শঙ্কায় আছি। যাদের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তদন্ত করে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

নূর নামে এত মহানগর গোধূলি ট্রেনের অপর যাত্রী বলেন, বড় ভাই বিদেশ যাবে, রাতে ফ্লাইট। ট্রেনের শিডিউল ওলটপালট হওয়ার কারণে যেতে পারবো কি না এ নিয়ে চিন্তায় আছি। ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখার জন্য সরকারের উচিত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো সুযোগ খোঁজ রাখা উচিত।

ট্রেন যাত্রী মোহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়া জানান, অল্পের জন্য মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিচ্ছিন্ন হওয়া বগির যাত্রীরা বেঁচে গেছেন। সে সময় যদি অফলাইন দিয়ে অন্য ট্রেন আসতো, তাহলে ভয়াবহ সংঘর্ষ হতো।

এদিকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বিচ্ছিন্ন রেখে যাওয়া অংশ উদ্ধার করতে এসে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনও বিকল হয়ে যায়। এতে ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়ে। তবে আপলাইনে বিচ্ছিন্ন বগি অপসারণ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আপলাইন বন্ধ থাকার কারণে, ডাউন লাইন দিয়ে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ত্যাগ করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা) দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি।