গুলি করে, পায়ের রগ কেটে সাবেক যুবদল নেতাকে হত্যা
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) প্রকাশ্যে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে তাকে গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।
মাহবুবুর রহমান মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়েন। মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মাহবুব। মাদক বিক্রি নিয়ে এলাকার আরেকটি গ্ৰুপের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জেরে আগেও কয়েকবার মাহবুবের ওপর হামলা হয়।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে মাহবুবের ছবি সামাজিক যোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই রাতেই সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “মাদক বিক্রি নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্ৰুপের সঙ্গে মাহবুবের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে হামলা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের গ্ৰেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”
ওসি জানান, মাহাবুবের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই রাতেই সংগঠন থেকে মাহবুবকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।